*Are World Leaders Mentally Unwell?*

 

*Are World Leaders Mentally Unwell?




TRANSLATE INTO BANGLA


বিশ্ব নেতারা কি মানসিকভাবে অসুস্থ ?

পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যেমন নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন, পৃথিবীর পরিবেশ ও সমাজ সুরক্ষায় তাঁরা ব্যর্থ এবং অচেতন।  প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার ফলে পৃথিবীতে একের পর এক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে, বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, সুনামী, ভুমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, দেশে দেশে যুদ্ধবিধ্বস্ত - বিরাজমান বায়ু দূষণ, বনাঞ্চল শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যাওয়া, মরুভূমিতে অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত হওয়া, মহামারী, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, উত্তর মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সাগর ও মহাসাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়া।  

এসব কারণেই বর্তমান পৃথিবী ভারসাম্যহীন এক অসুস্থতায় ভুগছে।

এসব কিসের আলামত ?
দৃশ্যমান এসব বিশ্ব বিপর্যয় সচোক্ষে দেখেও না দেখা কি মানসিকভাবে অসুস্থতা নয় ?

সাবধান বিশ্ব নেতারা ?
সারাবিশ্বের মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্ব নেতারা মানচিত্র রক্ষা করুন, এখনই সময়, আর দেরি নয়। 
নিজ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তুলুন, আকাশ বাজেট কম করে পৃথিবী সুরক্ষার বাজেট প্রণয়ন করুন, পৃথিবীকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দুষনমুক্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ভূস্বর্গ হিসেবে গড়ে তুলুন।

মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ্য, ন্যায়পরায়ণ এমন একজন বিশ্ব নেতার আজ অনেক প্রয়োজন, যে হবে সত্য জ্ঞানে  শক্তিশালী বিশ্বনেতা।
যার নাম আন্তরিকভাবে লেখা থাকবে মনুষ্য হৃদয়ে, তিনিই হবেন বিশ্ব শান্তির দূত - সন্মানীত বিশ্বনেতা।

এমন কেউ কি আছেন? যিনি উদৌগ নিবেন পৃথিবীকে ভূস্বর্গে রূপান্তরিত করার ?

ধন্যবাদ 
আল্লাহ আমাদের পৃথিবী বাসীদের মঙ্গল করুন,
আমীন

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতু।

MD KHALIL

https://mdkhalil6690.blogspot.com/

"গাইরীল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালা - দ্দাল্লীন"

 "গাইরীল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালা-দ্দাল্লীন"

"غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ"





আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতু।

সূরা ফাতিহার ৭ নম্বর আয়াত

"غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ"

"গাইরীল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালা-দ্দাল্লীন"

অর্থ:

"যারা তোমার ক্রোধের পাত্র হয়েছে, এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, তাদের পথেও নয়।"


তাফসির ও বিশ্লেষণ

সূরা ফাতিহার এই আয়াত একটি আন্তরিক গভীর প্রার্থনা, যা মুসলিম জীবনের দিকনির্দেশনা দেয়। এখানে আল্লাহ তাআলা আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে সঠিক পথের জন্য দোয়া করতে হয় এবং ভুল পথ এড়িয়ে চলতে হয়।


"غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ" (যারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হয়েছে):

"গাইরীল মাগদুবি আলাইহিম" দ্বারা বোঝানো হয়েছে সেইসব মানুষকে, যারা আল্লাহর হিদায়াত বা সঠিক নির্দেশনা পেয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে তা অস্বীকার করেছে।

 তারা সত্যকে জেনেছে কিন্তু অহংকার, ঈর্ষা বা বিদ্বেষের কারণে তা গ্রহণ করেনি। এই শ্রেণির মানুষ আল্লাহর ক্রোধে পতিত হয়েছে। 

অনেক তাফসিরকার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটি মূলত ইহুদিদের দিকেই নির্দেশ করে, যারা বারবার নবী ও রসূলদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট জাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; যে কোনো ব্যক্তি বা জাতি, যারা জেনে-বুঝে আল্লাহর বিধান অমান্য করে, তাদের জন্য এই সতর্কতা প্রযোজ্য।


"وَلَا الضَّالِّينَ" (যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে) :

"ওয়ালা - দ্দাল্লীন"

"দ্বাল্লীন" শব্দের অর্থ হলো, যারা সঠিক পথ খুঁজে পায়নি বা সঠিক নির্দেশনা পেতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা হয়তো সত্য অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে। তাফসিরে এটি সাধারণত ইঙ্গিত করা হয়েছে, যারা অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা ও অজ্ঞতার কারণে বিভ্রান্ত হয়েছে। তবে এ অংশটি তাদেরও বোঝায়, যারা জ্ঞান না থাকা বা ভুল নির্দেশনার কারণে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।

তাৎপর্যপূর্ণ  শিক্ষা

সূরা ফাতিহার এই আয়াত আমাদের জীবনের জন্য একটি দিকনির্দেশনা। 

এটি আমাদের শেখায় :

১. সত্যের জন্য আল্লাহর দিকনির্দেশনা পাওয়ার প্রার্থনা করা, মানুষের নিজের ক্ষমতা দিয়ে সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কেউ সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ খুঁজে পা না। 


২. ভুল পথ এড়িয়ে চলা :

এই আয়াতে আল্লাহ আমাদের দুটি ভুল পথের বিষয়ে সতর্ক করেছেন:

যারা জেনে-বুঝে সত্য প্রত্যাখ্যান করে।

যারা অজ্ঞতার কারণে ভুল পথে চলে যায়।


৩. আত্মসমালোচনার সুযোগ:

এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয়, আমাদের জীবনের কাজগুলো বারবার মূল্যায়ন করতে হবে, আমরা কি সঠিক পথে আছি, নাকি আমাদের কাজগুলো আল্লাহর ক্রোধ ও বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে ?


আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

. আল্লাহর প্রতি পূর্ণ নির্ভরতা :

মানুষ নিজের অহংকারে বিভ্রান্ত হতে পারে তাই সঠিক পথের জন্য আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আর কোনো  কিছুই কার্যকর নয়, এই আয়াত পাঠ করলে আল্লাহর প্রতি আমাদের নির্ভরতা বেড়ে যায়।

 সতর্কতা ও সচেতনতা:

এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও পথভ্রষ্ট হওয়া সম্ভব। তাই আমাদের অহংকার ও গাফিলতি এড়িয়ে চলতে হবে।

৩. আত্মার বিশুদ্ধতা:

এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয় সঠিক পথের জন্য দোয়া করা এবং আল্লাহর রহমতের ওপর নির্ভর করে আত্মাকে বিশুদ্ধ রাখা।


ফজিলত ও উপকারিতা

১. জীবনের সঠিক পথ:

এই আয়াত পাঠ করে  আমরা আল্লাহর কাছে সরাসরি দোয়া করি, যেন তিনি আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন।

২. আল্লাহর ক্রোধ থেকে মুক্তি:

এই আয়াত আমাদের শেখায় কীভাবে আল্লাহর ক্রোধ থেকে দূরে থাকা যায়।

৩. প্রতিদিনের দোয়া:

যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে এই আয়াত পড়ে, তার জীবন আল্লাহর রহমতে ভরে ওঠে এবং বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পায়।


উপসংহার

সূরা ফাতিহার ৭ নম্বর আয়াত আমাদের জীবনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা। এটি আমাদের সত্য পথের জন্য প্রার্থনা করতে শেখায় এবং ভুল পথে পা না বাড়ানোর শিক্ষা দেয়।

আমাদের উচিত প্রতিদিন এই আয়াতের গভীরতা উপলব্ধি করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা, যেন তিনি আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ আমাদের তাঁর প্রিয় বান্দাদের পথ দেখান এবং আমাদের তাঁর ক্রোধ ও বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করুন। আমিন।


mdkhalil.rahman6690@gmail.com 

আন্তরীক ধন্যবাদ, 
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতু।

"সিরাতাল্লাজীনা আন'আমতা আলাইহিম"

 "সিরাতাল্লাজীনা আন'আমতা আলাইহিম" 

 


"
সিরাতাল্লাজীনা আন'আমতা আলাইহিম" 

 অর্থ :  "তাদের পথ, যাদের প্রতি (আল্লাহ) অনুগ্রহ করেছেন।"


এই আয়াতটি সূরা ফাতিহার অংশ, আল কুরআনের প্রারম্ভিক অধ্যায় এবং সমস্ত দোয়ার সারমর্ম হিসেবে পরিচিত।

ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ : 

এই আয়াতটি মহান আল্লাহর প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে, যাতে আমরা সঠিক পথে পরিচালিত হই। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে:

১. "সিরাত"তাল্লাজীনা বা পথের ধারণা :

"সিরাত" শব্দটি সরল, সঠিক এবং অবিচল পথকে নির্দেশ করে,
এটি এমন একটি পথ যা আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। এই পথ শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, বরং জীবনের সকল ক্ষেত্রে নৈতিক, আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক দিক থেকে সঠিক দিশা দেখায়।

২. "আন'আমতা" বা অনুগ্রহপ্রাপ্তদের পরিচয় :

"আন'আমতা" বলতে বোঝানো হয়েছে সেই সকল ব্যক্তিদের, যাদের প্রতি আল্লাহ বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন।

"আলাইহিম" 
কুরআনের বিভিন্ন স্থানে তাদের পরিচয় স্পষ্ট করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
নবীগণ (আলাহিস সালাম) : যারা আল্লাহর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

সিদ্ধান্তপ্রাপ্ত সত্যবাদীরা : যারা ন্যায় ও সত্যের পথে অবিচল থেকেছেন।

শহীদগণ: যারা আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

সৎকর্মশীল মুমিনগণ : যারা আল্লাহর আদেশ মেনে চলেন।

সরল পথের প্রয়োজনীয়তা:
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর বান্দারা প্রার্থনা করেন যেন তারা বিভ্রান্তিমূলক পথ থেকে রক্ষা পায়,
এ আয়াতের মাধ্যমে সরল পথের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে, যা পৃথিবীতে সঠিক জীবনযাপন এবং আখিরাতে মুক্তির কারণ।



তাৎপর্য :

১. ইবাদতের মর্মবাণী :
এই আয়াত আমাদের শেখায়, ইবাদত মানে শুধু আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড নয়; বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই মূল লক্ষ্য।

২. সঠিক দিশা খোঁজার দোয়া :
মানুষকে সর্বদা সঠিক পথ খুঁজতে হবে এবং আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। এই আয়াত সেই দোয়ার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।

৩. একতা ও ঐক্যের বার্তা :
এ আয়াত মুসলিমদের একসঙ্গে সঠিক পথে থাকার আহ্বান জানায়। এককভাবে সৎ হওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই সমাজের সামগ্রিক সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।


উপসংহার  :
"সিরাতাল্লাজীনা আন'আমতা আলাইহিম" আয়াতটি মুসলিম জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা। এটি আমাদের জানায় যে, সঠিক পথে চলা এবং আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তদের পথ অনুসরণ করাই জীবনের আসল লক্ষ্য। আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পথই মুক্তির পথ এবং আখিরাতে সফলতার চাবিকাঠি।

“সিরাতাল্লাজীনা আন'আমতা আলাইহিম” আয়াতটি প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রোথিত একটি প্রার্থনা। এটি আমাদের আল্লাহর সেই পথের জন্য দোয়া করতে শেখায়, যা সরল, সঠিক এবং অনুগ্রহপ্রাপ্তদের পদাঙ্ক অনুসরণে পরিচালিত। এই আয়াত আমাদের জীবনে নৈতিকতা, সততা ও আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যের গুরুত্ব তুলে ধরে।

এই আয়াতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য কামনা করি এবং তাঁর প্রিয় বান্দাদের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার চেষ্টা করি। নবীগণ, সত্যবাদী, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের পথ আমাদের জন্য এক আলোকিত দৃষ্টান্ত। এই পথে চলতে পারলে আমরা পার্থিব জীবনে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি লাভ করতে পারব।

অতএব, “সিরাতাল্লাজীনা আন'আমতা আলাইহিম” আমাদের জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে সঠিক দিশা নির্ধারণের দোয়া। এটি শুধু মুখস্থ উচ্চারণ নয়, বরং অন্তরের গভীর অনুভূতি থেকে প্রার্থনার প্রকাশ।
আমরা যদি প্রতিদিনের নামাজে এই আয়াতের মর্মার্থ হৃদয়ে ধারণ করে আল্লাহর কাছে সরল পথের জন্য দোয়া করি, তাহলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য পাব এবং বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত থাকব।

 আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে তাঁর সরল পথে পরিচালিত করেন এবং বিভ্রান্তি ও গোমরাহি থেকে রক্ষা করেন। আমিন। 

আন্তরীক ধন্যবাদ, 
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতু।
mdkhalil.rahman6690@gmail.com 


"ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম"

 "إهدنا الصراط المستقيم


"ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম" 

 

বাংলা অর্থআমাদেরকে সরল পথ দেখান।

 

আয়াতের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, তাৎপর্য ও ফজিলত ;

 "ইহদিনা" অর্থ:
এটি আল্লাহর নিকট সরাসরি একটি আবেদন। আমরা তাঁর পথনির্দেশনা চাই যা আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ। এটি আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক শুদ্ধি ও  নির্ভরতার প্রকাশ।
"সিরাত" অর্থ:
সিরাত মানে পথ বা রাস্তা। এটি এমন একটি পথ যা সোজা, নিখুঁত এবং অটুট।
"মুস্তাকিম" অর্থ:
মুস্তাকিম শব্দটি সঠিক, সোজা এবং সুষম পথ বোঝায়। এটি এমন এক পথ যা পরকালীন মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।



তাওহিদের প্রকাশ:
আল্লাহকে একমাত্র পথপ্রদর্শক মানার মাধ্যমে এটি তাওহিদের মূলনীতি প্রতিষ্ঠা করে।

প্রতিদিনের আবেদন:
এই আয়াতটি ফাতিহার অংশ, যা প্রতিদিন সালাতে বারবার পড়া হয়, এটি মানুষের মনকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনে।

আধ্যাত্মিক শুদ্ধি:
এই দোয়া মানুষের আত্মাকে শুদ্ধ করে এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্য বৃদ্ধি করে, এটি দুনিয়া এবং আখিরাতের সঠিক ভারসাম্য রাখতে শেখায়

সত্য ও ন্যায়ের পথ:
সরল পথ বলতে বোঝায়, সেই পথ যা সত্য, ন্যায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নির্ধারিত।

আয়াতের তাৎপর্য ও ফজিলত; 

ইসলামের মূল আবেদন:
এই আয়াত আমাদের শেখায়, মানুষের জীবনের প্রধান লক্ষ্য আল্লাহর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করা, এটি পরকালীন জীবনের সফলতার প্রধান শর্ত।

বিশেষ ফজিলত;
১.   অন্ধকার থেকে আলোতে:
     এই আয়াতটি মানুষকে দুনিয়ার অন্ধকার থেকে সরল আলোকিত পথে নিয়ে     যায়।

২.   মনের প্রশান্তি:
      এই দোয়া পাঠ করলে হৃদয়ে প্রশান্তি আসে এবং সকল দুশ্চিন্তা দূর হয়।

৩.   তাওয়াক্কুলের শিক্ষা:
      আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখার শিক্ষা দেয়।

৪.   সকল বিষয়ে পথনির্দেশনা:
      জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।

৫.  পরকালীন মুক্তি:
      এই দোয়া সরাসরি জান্নাতের পথে চলার নির্দেশনা দেয়।
আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই দোয়া আমাদের শেখায় যে আল্লাহই একমাত্র সত্য গাইড। আমরা যখন তাঁকে সাহায্যের জন্য আহ্বান করি, তখন আমাদের হৃদয়, মন ও আত্মা আল্লাহর প্রতি সমর্পিত হয়। এই প্রার্থনার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর আলোকিত পথে চলতে অনুপ্রাণিত হই, যা দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বোচ্চ সফলতা এনে দেয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর সরল পথে পরিচালিত করুন। 



উপসংহার
"ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম" শুধুমাত্র একটি দোয়া নয়; এটি মানুষের জীবনের একটি পূর্ণাঙ্গ দর্শন। এটি মানুষকে জীবনের সব ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে এবং আখিরাতের সফলতার পথে চালিত করে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সরল পথে পরিচালিত করুন।

"ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম" আয়াতটি এক অসীম দোয়া, যা মানুষের অন্তরের গভীরতম প্রার্থনা প্রকাশ করে। এই আয়াতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে সেই সরল পথের দিশা চাই, যা তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ এবং চিরন্তন মুক্তির পথ।

আধ্যাত্মিক অর্থে, সরল পথ মানে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করা। এটি শুধু বাহ্যিক কাজ নয়, অন্তরের শুদ্ধতা ও সঠিক নিয়তের দিকেও ইঙ্গিত করে। 

এই দোয়া আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা নিজেরা কখনোই পথের দিশা নির্ধারণ করতে সক্ষম নই। আল্লাহই একমাত্র পথপ্রদর্শক, যিনি আমাদের অন্তরকে আলোর দিকে পরিচালিত করেন।

এ আয়াত আমাদের তাওহিদের মহিমা শেখায়—আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্যিকারের সাহায্যকারী বা দিকনির্দেশক হতে পারে না। এর মধ্য দিয়ে আমরা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ সমর্পণ ও আনুগত্য প্রকাশ করি। এই দোয়া জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের মনকে আল্লাহমুখী করে এবং তাঁর সাথে গভীর আত্মিক সংযোগ স্থাপন করে।

আল্লাহর এই ওহীর বাণী আমাদের শিক্ষা দেয় যে, দুনিয়ার অস্থিরতার মাঝে স্থিতিশীলতা, অন্ধকারে আলো এবং অজানার মাঝে সঠিক পথ একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছাতেই পাওয়া সম্ভব। আমিন।


আন্তরীক ধন্যবাদ, 
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতু।

mdkhalil.rahman6690@gmail.com 


বিষয়বস্তু: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ বিশ্ব নেতারা,

বর্তমান বিশ্বের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আমরা এক গভীর সংকটকাল অতিক্রম করছি। প্রযুক্তির বিকাশ, স্থাপত্য নির্মাণের চমক ও অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য আমা...