বর্তমান বিশ্বের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আমরা এক গভীর সংকটকাল অতিক্রম করছি।
Discover unknown truth in;THE HOLY QURAN; is the best place to get true knowledge from ;THE HOLY QURAN ; in Bangla. Discover unknown facts feel fine from heart & soul in the way of EDEN. for ইসলামিক, আউযুবিল্লাহি পাঠের ফজিলত, আল্ কুরআনের আলো, আল্ কুরআনের বাণ #Islam #The truth on the way, #SHOTTER POTHE @Holy Quran Recitation #Holy Quran Bangla #Bangla @Islam #Trending @Trend #Shotter shondhane
বিষয়বস্তু: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ বিশ্ব নেতারা,
Unity, Peace, and Leadership of Humanity -- একতা, শান্তি ও মানবতার নেতৃত্ব
একতা, শান্তি ও মানবতার নেতৃত্ব
*Are World Leaders Mentally Unwell?*
"গাইরীল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালা - দ্দাল্লীন"
"গাইরীল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালা-দ্দাল্লীন"
"غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ"
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতু।
সূরা ফাতিহার ৭ নম্বর আয়াত
"غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ"
"গাইরীল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালা-দ্দাল্লীন"
অর্থ:
"যারা তোমার ক্রোধের পাত্র হয়েছে, এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, তাদের পথেও নয়।"
তাফসির ও বিশ্লেষণ
সূরা ফাতিহার এই আয়াত একটি আন্তরিক গভীর প্রার্থনা, যা মুসলিম জীবনের দিকনির্দেশনা দেয়। এখানে আল্লাহ তাআলা আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে সঠিক পথের জন্য দোয়া করতে হয় এবং ভুল পথ এড়িয়ে চলতে হয়।
"غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ" (যারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হয়েছে):
"গাইরীল মাগদুবি আলাইহিম" দ্বারা বোঝানো হয়েছে সেইসব মানুষকে, যারা আল্লাহর হিদায়াত বা সঠিক নির্দেশনা পেয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে তা অস্বীকার করেছে।
তারা সত্যকে জেনেছে কিন্তু অহংকার, ঈর্ষা বা বিদ্বেষের কারণে তা গ্রহণ করেনি। এই শ্রেণির মানুষ আল্লাহর ক্রোধে পতিত হয়েছে।
অনেক তাফসিরকার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটি মূলত ইহুদিদের দিকেই নির্দেশ করে, যারা বারবার নবী ও রসূলদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট জাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; যে কোনো ব্যক্তি বা জাতি, যারা জেনে-বুঝে আল্লাহর বিধান অমান্য করে, তাদের জন্য এই সতর্কতা প্রযোজ্য।
"وَلَا الضَّالِّينَ" (যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে) :
"ওয়ালা - দ্দাল্লীন"
"দ্বাল্লীন" শব্দের অর্থ হলো, যারা সঠিক পথ খুঁজে পায়নি বা সঠিক নির্দেশনা পেতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা হয়তো সত্য অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে। তাফসিরে এটি সাধারণত ইঙ্গিত করা হয়েছে, যারা অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা ও অজ্ঞতার কারণে বিভ্রান্ত হয়েছে। তবে এ অংশটি তাদেরও বোঝায়, যারা জ্ঞান না থাকা বা ভুল নির্দেশনার কারণে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ শিক্ষা
সূরা ফাতিহার এই আয়াত আমাদের জীবনের জন্য একটি দিকনির্দেশনা।
এটি আমাদের শেখায় :
১. সত্যের জন্য আল্লাহর দিকনির্দেশনা পাওয়ার প্রার্থনা করা, মানুষের নিজের ক্ষমতা দিয়ে সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কেউ সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ খুঁজে পায় না।
২. ভুল পথ এড়িয়ে চলা :
এই আয়াতে আল্লাহ আমাদের দুটি ভুল পথের বিষয়ে সতর্ক করেছেন:
যারা জেনে-বুঝে সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
যারা অজ্ঞতার কারণে ভুল পথে চলে যায়।
৩. আত্মসমালোচনার সুযোগ:
এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয়, আমাদের জীবনের কাজগুলো বারবার মূল্যায়ন করতে হবে, আমরা কি সঠিক পথে আছি, নাকি আমাদের কাজগুলো আল্লাহর ক্রোধ ও বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে ?
আধ্যাত্মিক তাৎপর্য
১. আল্লাহর প্রতি পূর্ণ নির্ভরতা :
মানুষ নিজের অহংকারে বিভ্রান্ত হতে পারে তাই সঠিক পথের জন্য আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আর কোনো কিছুই কার্যকর নয়, এই আয়াত পাঠ করলে আল্লাহর প্রতি আমাদের নির্ভরতা বেড়ে যায়।
২ সতর্কতা ও সচেতনতা:
এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও পথভ্রষ্ট হওয়া সম্ভব। তাই আমাদের অহংকার ও গাফিলতি এড়িয়ে চলতে হবে।
৩. আত্মার বিশুদ্ধতা:
এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয় সঠিক পথের জন্য দোয়া করা এবং আল্লাহর রহমতের ওপর নির্ভর করে আত্মাকে বিশুদ্ধ রাখা।
ফজিলত ও উপকারিতা
১. জীবনের সঠিক পথ:
এই আয়াত পাঠ করে আমরা আল্লাহর কাছে সরাসরি দোয়া করি, যেন তিনি আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
২. আল্লাহর ক্রোধ থেকে মুক্তি:
এই আয়াত আমাদের শেখায় কীভাবে আল্লাহর ক্রোধ থেকে দূরে থাকা যায়।
৩. প্রতিদিনের দোয়া:
যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে এই আয়াত পড়ে, তার জীবন আল্লাহর রহমতে ভরে ওঠে এবং বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পায়।
উপসংহার
সূরা ফাতিহার ৭ নম্বর আয়াত আমাদের জীবনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা। এটি আমাদের সত্য পথের জন্য প্রার্থনা করতে শেখায় এবং ভুল পথে পা না বাড়ানোর শিক্ষা দেয়।
আমাদের উচিত প্রতিদিন এই আয়াতের গভীরতা উপলব্ধি করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা, যেন তিনি আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ আমাদের তাঁর প্রিয় বান্দাদের পথ দেখান এবং আমাদের তাঁর ক্রোধ ও বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
"সিরাতাল্লাজীনা আন'আমতা আলাইহিম"
"সিরাতাল্লাজীনা আন'আমতা আলাইহিম"
অর্থ : "তাদের পথ, যাদের প্রতি (আল্লাহ) অনুগ্রহ করেছেন।"
এই আয়াতটি সূরা ফাতিহার অংশ, আল কুরআনের প্রারম্ভিক অধ্যায় এবং সমস্ত দোয়ার সারমর্ম হিসেবে পরিচিত।
"ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম"
"إهدنا الصراط المستقيم
"ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম"
বাংলা অর্থ: আমাদেরকে সরল পথ দেখান।
আয়াতের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, তাৎপর্য ও ফজিলত ;
এটি আল্লাহর নিকট সরাসরি একটি আবেদন। আমরা তাঁর পথনির্দেশনা চাই যা আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ। এটি আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক শুদ্ধি ও নির্ভরতার প্রকাশ।
সিরাত মানে পথ বা রাস্তা। এটি এমন একটি পথ যা সোজা, নিখুঁত এবং অটুট।
"মুস্তাকিম" অর্থ:
মুস্তাকিম শব্দটি সঠিক, সোজা এবং সুষম পথ বোঝায়। এটি এমন এক পথ যা পরকালীন মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।
প্রতিদিনের আবেদন:
এই আয়াতটি ফাতিহার অংশ, যা প্রতিদিন সালাতে বারবার পড়া হয়, এটি মানুষের মনকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনে।
আধ্যাত্মিক শুদ্ধি:
এই দোয়া মানুষের আত্মাকে শুদ্ধ করে এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্য বৃদ্ধি করে, এটি দুনিয়া এবং আখিরাতের সঠিক ভারসাম্য রাখতে শেখায়।
ইয়্যা-কা নাবুদু ওয়াইয়্যা-কা নাসতাঈন
ইয়্যা-কা নাবুদু ওয়াইয়্যা-কা নাসতাঈন = আমরা তোমারই ইবাদত করি ও তোমারই সাহায্য প্রার্থী।
আউজুবিল্লাহি মিনাশ্শাইতোয়ানির রাজিম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সূরা ফাতিহার ৪নং আয়াত = ইয়্যা-কা নাবুদু ওয়াইয়্যা-কা নাসতাঈন।
অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন এই পবিত্র আয়াত টির মধ্যে রয়েছে আন্তরীক ভাব, রূহানী প্রশান্তি পাওয়া যায় এই বাণী গুলো পাঠ করলে।
তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব ।
সূরা গাফির, আয়াত - ৬০ ।
মালিকি-ইয়াওমেদ্দীন = বিচার দিবসের মালিক।
মালিকি = যিনি মালিক
ইয়াওমেদ্দীন = বিচার দিবসের/দিনের ।
বিচার দিবসের একমাত্র মালিক রাব্বুল আলামীন, দয়াময় আল্লাহ্।
আরশ কুরসিতে বসে তিনি এককভাবে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, আল্লাহর হুকুম ছাড়া সেদিন কেউ কথা বলতে পারবে না, তিনি আল্লাহ-ই সেদিন একমাত্র বিচারক, মহা বিচারপতি।
এই সেই বিচার দিবস !
কেয়ামত বা মহাপ্রলয় সংঘটিত হওয়ার পর পরই বিচার দিবসের শুরু।
সেদিন প্রতিটি মানুষকে নগ্ন অবস্থায় পুনঃজীবিত করা হবে, বধীর, বোবা, দৃষ্টিহীন ও দিশেহারা অবস্থায় কবর থেকে উঠে সমবেত হবে, বিচার দিবসের মালিকের সামনে আখেরাতের ময়দানে, রাব্বুল আলামীন সেদিন পুঙ্খানুপুঙ্খ/ কড়ায়গণ্ডায় (অনু পরিমাণ) হিসাব নিবেন ।
সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ আদমকে সেদিন তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে, মানুষের কৃতকর্মের/ভালমন্দের ন্যায় বিচার হবে, ইনসানকে সেদিন অণু/পরমানু পরিমাণ নেক বা মন্দ কাজের ১০০% প্রতিফল দেওয়া হবে।
মূর্খেরাই জ্ঞান অর্জন করে না বা সত্য বোঝে না, সত্যকে মেনে নিতে চায় না।
শুধুমাত্র জ্ঞানীরাই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেখানো সুন্নত এর পথে চলে, বিচার দিবসের মালিকের সন্তুষ্টি অর্জনের আকাঙ্ক্ষায় সত্য সুন্দর পথে চলে, আল্ কুরআনের পথে চলে, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণে নেক আমল করে, সীমিত খরচ করে, আল্লাহর রাস্তায় ধৈর্য্য ধারণ করে, অপরকে সাহায্যকারী ও দানশীল হয়, আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে কলুষমুক্ত করে।
দুনিয়াতে যে ন্যায়বিচার পায়নি, সেদিন তার প্রতি ন্যায্য বিচার হবে ।
সেদিন বিচার হবে, লোভ, লালসার, অহংকারীর, অন্যের সম্পদ ভোগকারীর, পাথরসম কলুষিত হৃদয়ের মানুষগুলোর, বিচার হবে Bank balance এর, মালিক সেদিন বিচার করবেন মন্দ ক্রেতা/ বিক্রেতার, দুনিয়াতে যারা একে অপরকে ঠকিয়েছে তাদের, সেদিন বিচার হবে ন্যায্য দামের, বিচার হবে ওজনে কম দেয়ার, মহান রব সেদিন বিচার করবেন খাদ্যে ভেজাল মিশ্রন কারীর।
বিচার দিবসে রাব্বুল আলামীন বিচার করবেন হালাল/হারাম উপার্জন কারীর ।
বিষয়বস্তু: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ বিশ্ব নেতারা,
বর্তমান বিশ্বের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আমরা এক গভীর সংকটকাল অতিক্রম করছি। প্রযুক্তির বিকাশ, স্থাপত্য নির্মাণের চমক ও অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য আমা...
-
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমরা সকলেই জানি এই আয়াত টির বাংলা অর্থ, কিন্তু এ...
-
আঊযুবিল্লাহি মিনাশ্শাইত্বোয়ানির রাজিম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সর্বপ্রথম , যে আয়াত টি মহাগ্রন্থ আল্ কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, সেই আয়া...